ম্যাজিক বর্গ এর সাথে আমারা অনেকেই পরিচিত। একটি ছক যার মধ্যে কিছু সংখ্যা উপর নীচ ও পাশাপাশি লেখা। যেগুলো কে পাশাপাশি, উপরনীচ, বা কখনো কোনাকুনি যোগ করলে একই সংখ্যা পাওয়া যায়। এগুলিই হল ম্যাজিক বর্গ। এগুলো তিন
চার বা আরো বেশী মাত্রার হতে পারে। এটা গণিতের চিত্ত বিনোদন মুলক দিক। কিন্তু প্রাচীন কালে তা ছিলো মানুষের কাছে মঙ্গল-অমঙ্গলের বা পাপ- পূণ্যের ব্যাপার। তখন মানুষ ভাবতো এগুলো ঐশ্বরিক ব্যাপার স্যাপার কিন্তু এখন জানা যায় গণিতের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে খুব সহজেই এই ম্যাজিক বর্গ তৈরী করা যায়। হাজার চার পাঁচ বছর আগে চীন দেশে এর প্রথম সুত্রপাত হয়ে ছিলো বলে জানা যায়। এগুলোকে বলা হত ' লো-শু'। কথিত লোককথা অনুযায়ী কোনো এক চীনা সম্রাট নদীর তীরে বসে থাকার সময় প্রথম একটি কচ্ছপের খোলের উপর 'লো- শু' চিত্র দেখতে পান।
তারপর থেকে চীনা সভ্যতায় এই সমস্ত চিত্রের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তারা মনে করতেন লো-শুর উপস্থিতি মানে অমঙ্গলের অবসান। যদিও এখন মানুষ বুঝে গেছে যে এটা গণিতের একটি মজার নান্দনিক দিক মাত্র। চীনা সভ্যতা হতে তা আস্তে আস্তে অন্যান্য দেশেও তা ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের দেশেও নানা শীলালিপি তে উন্নত ধরনের ম্যাজিক বর্গের সন্ধান পাওয়া যায়। যাদের বেশীর ভাগই চার মাত্রার। ভারতীয় গণিতবিদ দের মধ্যে নারায়ন পন্ডিত নামে একজন প্রথম ম্যাজিক বর্গ কে নিয়ে গাণিতিক বিশ্লেষন শুরু করেন বলে জানা যায়। তাঁর লেখা ' গণিত কৌমুদি' তে তিনি তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাছাড়া এই ম্যাজিক বর্গ আবার কখনো জ্যোতিষবিদ দের অস্ত্র হিসাবেও কাজ করেছে। তাঁরা ম্যাজিক বর্গকে ভাগ্য নির্ধারনের উপকরন হিসাবে ব্যবহার করতেন। পরবর্তী কোনো পোস্টে ম্যাজিক বর্গ এর নানা বৈশিষ্ট্য ও তৈরী করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা রইলো। ইন্টারেস্টেড্ রা পেজের সাথে থাকুন। :) :) #ম্যাজিক_বর্গ #ম্যাজিক_বর্গ_ইতিহাস
No comments:
Post a Comment