দেশ বিদেশে অনেক জাগলিং শো করেছেন। সত্যজিৎ রায়ের 'জয়বাবা ফেলুনাথ' চলচ্চিত্রে যে ছুরি ছোড়া অর্থাৎ নাইফ থ্রোয়িং দেখা যায় সেটা এই অভয় মিত্রই করেছেন । তাছাড়া আরেকটি সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা 'ফটিক চাঁদ' এই জাগলিং কেই কেন্দ্র করে তৈরি । সেখানেও কাজ করেছেন এই অভয় মিত্র । সত্যজিৎ রায়ের সাথে কাজ করার বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা ,ঘটনার কথা লিখে রেখেছেন তাঁর 'জীবনের জাগলিং' বইয়ে । যাক আবার জাগলিং এর কথায় ফিরে আসি । জাগলিং খুব প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলিত । জাগলিং এর সবচেয়ে প্রাচীন ছবি দেখা যায় মিশরে । যেখানে একটা গুহাচিত্র জাতীয় জায়গায় দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ কিছু বস্তু নিয়ে লোফালুফি করছে ।
(ছবিটি উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহীত)
তাছাড়া ভারত সহ আরো কিছু জায়গায় নানা প্রাচীন ছবিতে জাগলিং এর ইঙ্গিত পাওয়া যায় । জাগলিং এর প্রাথমিক ভাবে একই আকারের কিছু বলে নিয়ে করা হয়ে থাকে । একটা, দুটো থেকে শুরু করে ১২থেকে ১৩ টা বল নিয়েও জাগলিং হতে পারে। ইন্টারনেট এ সার্চ করলে এখন খুব সহজেই বিশ্বের বড়ো বড়ো জাগলার দের শো দেখে অবাক হতে হয় । আগে সার্কাসে জাগলিং দেখা যেতো । এখনোও দেখা যায় যদিও তবে অনেক সার্কাসেই দেখানো হয় না । তবে পৃথিবীতে কিন্তু জাগলিং এর চর্চা অনেক বেড়েছে । তৈরি হয়েছে ওয়ার্ল্ড জাগলিং ফেডারেশন বা wjf যারা প্রতি বছর নানা জায়গায় জাগলার দের সম্মেলন করে থাকে । সেখানে বিশ্বের তাবড় তাবড় জাগলার দের উপস্থিতি ও দক্ষতা দর্শকদের তাকে লাগায় । ইউটিউবের সৌজন্যে আমরা তা বাড়িতে বসেই দেখতে পাই । জাগলিং এর প্রাথমিক স্টেজ শুরু হয় ৩টি বল দিয়ে ।
( ছবি : তিন বল ক্যাসকেড জাগলিং )
(এনিমেশন টা উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহীত )
৩ ,৪,৫ ও ৭ বলের জাগলিং ই খুব পপুলার । বাকি গুলো এডভান্স লেভেলের । বাইরে থেকে দেখে ছোড়া বল গুলো এলোমেলো মনে হলেও এখানে কিন্তু বল গুলো একটা ছন্দে বা প্যাটার্নে ছোড়া হয়ে থাকে । এই প্যাটার্ন অনুযায়ী আবার নানা নাম দেওয়া হয় এই জাগলিং এর । বেসিক পদ্ধতি কে বলে ক্যাসকেড । মিলসমেস প্যাটার্ন খুবই দৃষ্টিনন্দন করে । এখন আবার বল ছোড়ার প্যাটার্ন কে গনিত দিয়ে নোটেশন বানানোর পদ্ধতিও চালু হয়ে গেছে । জাগলিং অনেকটাই প্র্যাকটিস নির্ভর । দু তিনটে বল নিয়ে বেশ কিছুদিন প্র্যাকটিস করলে যেকেউ এটা আয়ত্ত করে ফেলতে পারে ।
No comments:
Post a Comment