[ লুই ব্রেইল ও অন্ধদের শিক্ষায় ব্রেইল পদ্ধতি তৈরী ]
ফ্রান্সের প্যারিস থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে একটি ছোট্ট গ্রাম। সেখানেই থাকতো বছর তিনেকের এক সাধারন বালক। প্রায়ই যেতো বাবার চামড়ার কারখানায়, সেখানে যন্ত্রপাতি নিয়ে খেলা করতো মাঝে মাঝে। একদিন উঁচুতে রাখা এক সুচালো যন্ত্র পারতে
ফ্রান্সের প্যারিস থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে একটি ছোট্ট গ্রাম। সেখানেই থাকতো বছর তিনেকের এক সাধারন বালক। প্রায়ই যেতো বাবার চামড়ার কারখানায়, সেখানে যন্ত্রপাতি নিয়ে খেলা করতো মাঝে মাঝে। একদিন উঁচুতে রাখা এক সুচালো যন্ত্র পারতে
গিয়েই ঘটল অঘটন। ছেলেটির ডান চোখে গিতে গেলো সেই যন্ত্রটি। ডাক্তারখানা নিয়ে যাওয়া হল। প্রায় ২০০ বছর আগের ঘটনা তখন চিকিৎসা ববস্থাও তেমন উন্নত না। বাবা মা ভাবলো তাদের ছেলের ডান চোখ টা নষ্টই হয়ে গেলো। কিন্তু হায় ডান চোখের বিষক্রিয়া বামচোখে ছড়িয়ে পরে কিছু দিনের মধ্যেই ছেলেটি সম্পূর্ণ রূপে অন্ধ হয়ে গেলো।
সেই ছেলেই পরবর্তী কালের লুই ব্রেইল, অন্ধ দের জন্য প্রচলিত ব্রেই পদ্ধতির আবিষ্কারক।
ব্রেইলের বাবা মা ছিলের শিক্ষার প্রবল অনুরাগী। ব্রেইল যাতে শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত না হয় তাই তারা তাকে ১০ বছর বয়সে ভর্তি করে দিলেন এক অন্ধদের বিদ্যালয়ে। সেখানে উঁচুনীচু হরপের সাহায্যে চলত অন্ধদের পড়াশোনা। সেখানে থেকে লুই ব্রেইল মন দিয়ে পড়াশোনা করতে থাকে। শুধু পড়াশোনাই নয় তারই সাথে সে চেষ্টা করে চলত কিভাবে অন্ধদের পড়াশোনা কে আরো সহজ করা যেতে পারে। কখনো কখনো বাবার চামড়ার কারখানার চামড়া কেটে ত্রিভুজ,বৃত্ত ইত্যাদি বানাতো নিজে নিজে। বার্বিয়া নামে এক ব্যক্তি ততদিনে আবিষ্কার করেছেন সোনোগ্রাফিক মেশিন যেখানে কাগজের উপরে ফুটো করা ডট দিয়ে শব্দ চেনার কাজ চলত। ব্রেই ব্রতী হলেন সেই কাজ কে আরো সহজ করতে। বার্বিয়া প্রচলিত ১২ ডটের বদলে ৬ টি ডট ব্যবহার করে নিরন্তর গবেষনায় তৈরী হল ব্রেইল পদ্ধতি।
#লুই_ব্রেইল
** আরো গল্প জানতে পেজে লাইক ও শেয়ার করে পেজের সাথে থাকুন **
No comments:
Post a Comment