১৯০০ সালে গিয়েছিলেন প্যারিস বিজ্ঞান সন্নিলনীতে তাঁর বিনাতারে বার্তা প্রেরণের কলাকৌশল দেখাতে। ভারতবর্ষের সর্বত্যাগী মহাসন্ন্যাসী বিবেকানন্দও সে সময় প্যারিসে ছিলেন। প্যারিসের বিজ্ঞান সম্মিলনী সম্পর্কে স্বামীজি তাঁর দিনলিপিতে লিখেছেন-
এ বৎসর প্যারিস সভ্য জগতে এক কেন্দ্র, এ বৎসর মহা প্রদর্শনী । নানা দিগদেশ সমাগত সজ্জনসঙ্গম । দেশ দেশান্তরের মনীষীগন নিজ নিজ প্রতিভা প্রকাশে স্বদেশের মহিমা বিস্তার করবেন আজ এই প্যারিসে। সে নাদতরঙ্গ সঙ্গে সঙ্গে তাহার স্বদেশ কে সর্বজন সমক্ষে গৌরবান্বিত করবে। আর আমার জন্মভূমি? জার্মান , ফরাসি, ইংরেজ,ইতালি প্রভৃতি বুধমন্ডলীমন্ডিত মহারাজধানীতে তুমি কোথায় বঙ্গভূমি ? কে তোমার অস্তিত্ব ঘোষনা করে? সে বহু গৌরবর্ণ প্রতিভামন্ডলীর মধ্য হতে এক যুবা যশস্বী বীর বঙ্গভূমির, আমাদের মাতৃভূমির নাম ঘোষনা করলেন, সে বীর জগৎ প্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক, ডঃ জে সি বোস । একা, যুবা বাঙ্গালি বৈদ্যুতিক, আজ বিদ্যুতবেগে পাশ্চাত্যমন্ডলীকে নিজের প্রতিভা মহিমায় মুগ্ধ করলেন — সে বিদ্যুৎ সন্ধ্যায় মাতৃভূমির মৃতপ্রায় শরীরে নবজীবন তরঙ্গ সঞ্চার করলো। সমগ্র বৈদ্যুতিকমন্ডলীর শীর্ষস্থানীয় আজ জগদীশ চন্দ্র বসু , ভারতবাসী , বঙ্গবাসী । ধন্য বীর ।
[--- সংগৃহীত]
No comments:
Post a Comment