আজকের দিনে আমরা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে খুবই ব্যস্ত । সেই প্রাচীন কাল থেকে মানুষ সেই সময়কে মাপার চেষ্টা করে চলেছে। প্রথমের দিকে ছিলো সূর্য ঘড়ি, যা সাধারনত কাঠি বা কোনো বস্তুকে রেখে তার ছায়ার গতিবধি লক্ষ্য করে সময় নির্ধারন করা হত। তারপর এল জলঘড়ি
, বালিঘড়ি ইত্যাদি। কিন্তু তখন সময় নিখুত ভাবে পরিমাপ করা যেত না। মিনিটের ব্যবহার এসেছে অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, আর সেকেন্ডের হিসাব তো তারও পরে। এখন পরমানু ঘড়ি বা অন্য ঘড়ি তো এক সেকেন্ডের হাজার ভাগ সময় নিখুঁত ভাবে পরিমাপ করতে পারে। আচ্ছা এই সেকেন্ডের হাজার ভাগ সময়ের মধ্যেও কত কি ঘটে যায় তাই না? এই যেমন- একটা ট্রেন মোটামুটি ৩ সেমি এগিয়ে যায় আর শব্দ তো প্রায় ৩৩ সেমি চলে যায়। আবার কীটপতঙ্গরা তো এই সময়ের ব্যবধান রীতিমত অনুভব করে। এক সেকেন্ডে একটি মশার ডানা ৫০০ থেকে ৬০০ বার অঠানামা করে। আমরা কীট-পতঙ্গের মত অত তাড়াতাড়ি অঙ্গ-প্রতঙ্গ নাড়াচাড়া করতে পারি না। আমরা সবচেয়ে তাড়াতাড়ি যে কাজ টি করতে পারি তা হল চোখের পলক ফেলা। আমরা নিমেশে ঘতে যাওয়া ঘটনা কে কলি ‘এক পলকের মধ্যে ‘ ঘটে গেলো। হিসাব করে দেখা গেছে- চোখের পলক পড়া ও খোলার জন্য গড়পড়তা সময় লাগে সেকেন্ডের পাঁচ ভাগের দুই ভাগ। এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যানে বিভিন্ন স্লোমোশান্ ক্যামেরা এসেছে। যেখানে অতি দ্রুত ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা কে আমরা খুব আস্তে আস্তে ঘটতে দেখতে পাই ও বিচিত্র কিছু ঘটনা দেখতে পাই।
[তথ্যঃ পেরেল-ম্যনের বই। ]
No comments:
Post a Comment