সালটা ১৯৭১ ,তখন ফোনের যুগ। ওজনিয়াক একটা আর্টিকেল পড়ছে। আর্টিকেলের নাম “সিক্রেট অফ দ্য ব্লু বক্স” ফ্রি তে দূরবর্তী স্থানে ফোন করা সংক্রান্ত একটা আর্টিকেল ।এটা তৈরী করেছিলেন একজন হ্যাকার, নাম জন র্ডাপার ।
জন দেখেছিলেন খেলনা বাঁশি ও ফোন কোম্পানী গুলোর কল-রুটিং সুইচে ব্যবহৃত তরঙ্গের কম্পাংক একই। আর এই তথ্যকে কে কাজে লাগিয়েই তিনি তৈরী করেন ফ্রিতে ফোন করার এক পদ্ধতি। যাইহোক আর্টিকেলটা পড়তে পড়তেই ওজনিয়াক ফোন করলো তার বন্ধু স্টিভ জোবস্ কে ।তাকে সব জানালো আর এও জানালো যে এই ব্লু বক্স সংক্রান্ত আরো তথ্য পাওয়া যাবে “বেল সিস্টেম টেকনিক্যাল জার্নালে” ।ব্লু বক্স সম্বন্ধে জানতে তাদের খুবই আগ্রহ। তাদের কথপোকথনের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তারা দুজনে বেড়িয়ে পরলো কাছাকাছি একটি লাইব্রেরীতে ঐ জার্নালটির খোঁজে। কিন্তু সেদিন আবার রবিবার, লাইব্রেরী বন্ধ । কিন্তু ঐ লাইব্রেরীতে ঢোকার বিকল্প পথ তাদের জানা ছিলো। সেখানে ব্লু বক্স নিয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করে রাত্রে দোকান-পাট বন্ধ হওয়ার আগেই সংগ্রহ করে নিলো প্রয়োজনীও ইলেক্ট্রনিক্স্ পার্টস্ । তারপর সারা রাত ধরে কাজ চলার পর তৈরী হল- ব্লু বক্স । জোবস্ ও ওজোনিয়াক খুব আনন্দিত হল । আর মজা করে এখানে সেখানে বিনা পয়সায় ফোন করতে লাগলো। তখন স্টিভ জোবসের মাথায় একটা আইডিয়া খেলে এল । তারা ঠিক করলো তারা ব্লু বক্স তৈরী করে বিক্রি করবে । আর তারা করলোও তাই। প্রায় ১০০ টার মতো ব্লু বক্স তারা তৈরী করলো আর সব বিক্রিও হয়ে গেলো । এই ব্লু বক্সই ইঙ্গিত দিয়ে ছিলো যে জোবস্ আর ওজোনিয়াক এক সাথে অ্যাপেলের মত কোম্পানী গড়ে তুলবে। জোবসের ভাষায়ঃ “ ব্লু বক্স তৈরী না হলে কোনো দিনই হয়তো অ্যাপেল তৈরি হত না। এই ব্লু বক্সই আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলো যে আমরা দু-জনে একসাথে কিছু করতে পারবো।
No comments:
Post a Comment