এই কাজটা করলে তুমি ও তোমার প্রতিফলনের মধ্যে যে পুরোপুরি মিল নেই, সেটা আরও ভালভাবে ধরা পড়বে। টেবিলের উপর খাড়া করে বসানাে একটা আয়নার সামনে বসাে। এবার এক টুকরাে কাগজ নিয়ে শুধু হাতের প্রতিফলনের উপর নজর রেখে ওর পরস্পর ছেদী সমেত একটা আয়তক্ষেত্র আঁকার চেষ্টা করো।
আপাত ভাবে এই সহজ কাজটাই দারুণ শক্ত হয়ে উঠবে। আমরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের দেখা ও অঙ্গ সঞ্চালনের অনুভূতির মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আয়না এই সুশৃংখল সম্পর্কটাকে ভঙ্গ করে, কারণ আয়নাটা আমাদের সচল হাতের একটা বিকৃত প্রতিবিম্বকে পেশ করে। তােমার প্রত্যেক প্রচেষ্টাকে তােমার অভ্যাস প্রতিবাদ করবে। তুমি ডানদিক টেনে একটা লাইন টানতে চাও কিন্তু তােমার হাত পেন্সিলটাকে টেনে নিয়ে যেতে চাইবে বাঁদিকে। এই ভাবে তুমি যদি আরও জটিল ছবি অাঁকতে বা লিখতে যাও, তাহলে আরও অদ্ভুত ফল পাবে। সমস্ত জিনিসটাকে এমন গুলিয়ে ফেলবে যে দারুণ মজার ব্যাপার হবে। ব্লটিং পেপারের উপর কালির ছােপগুলোও তােমার হাতের লেখার আয়নায় দেখা প্রতিসম প্রতিফলনের সামিল। কিন্তু একবার পড়ার চেষ্টা করে দ্যাখাে এটা শব্দও বুঝতে পারবে না, এমন কি অক্ষরগুলাে যদি স্পষ্টও দেখা যায় তবুও নয়। লেখাগুলাে বাঁদিকে হেলে থাকবে এবং টানগুলো সব উল্টোপাল্টা। অবশ্য এই হিজিবিজি আয়নার সামনে ধরলেই আবার তােমার পরিচিত হাতের লেখা দেখতে পাবে। আসলে আয়নাটা তােমাকে তােমার হাতের লেখার প্রতিসম প্রতিফলনের প্রতিসম প্রতিফলন দেখায়।
No comments:
Post a Comment