মেঘের রকমফের । বিভিন্ন মেঘের বিভিন্ন নাম

    
কালাে জলভরা মেঘ দেখলে যে বৃষ্টি হবে একথাটা না বললেও চলে কিন্তু মজা হল যে, মেঘেদেরও একটা করে নাম আছে। যে মেঘে প্রচণ্ড বৃষ্টি হয় এমন যে বন্যা হয়ে যাবে মনে হয় তার নাম 'সংবর্তা'  আর যে মেঘের 

বৃষ্টিতে ফসল ভালাে হয় তার নাম 'দ্রোণ মেঘ'। কালাে জলভরা মেঘের নাম 'বাদল মেঘ' বা 'নীরদ' আর যে মেঘে বৃষ্টি হয় না তার নাম 'আবর্ত'। 
অনেক সময় আবহবিদরা বলেন বৃষ্টি হলেও হতে পারে – যে মেঘ দেখে এমনটা বলা হয় তার ভালাে নাম 'পুষ্কর'। মেঘ থাকে নানা স্তরে স্তরীভূত হয়ে। মাটি থেকে মােটামুটি দু’হাজার ফুট উঁচুতে শরৎকালে পেঁজা তুলাের মতাে এক রকমের মেঘ দেখা যায়। এর নাম 'স্তর মেঘ', সকালবেলা এর আর দেখা মেলে না। বর্ষাকালে তেমনি দেখা যায় 'পুঞ্জ মেঘ' বা 'স্থূপমেঘ', দেখতে অনেকটা পেঁজা তুলোর মতো ।তাই এই রকমের নাম।  বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না এরা, অল্পসময়ের মধ্যেই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে যায় এই মেঘ থেকে । সবচেয়ে উঁচুতে থাকে যে মেঘের স্তর সেটা ঘন। এর নাম হল 'অলক মেঘ'। ভােরের বেলা আর বিকেলের দিকেই এদের দেখা মেলে বেশি। এ মেঘে বৃষ্টি নেই। মেঘ যেরকম নামেরই হােক ভেসে ভেসে যাওয়ার সময় নানা রকমের আকৃতি ধারণ করে। কখনও সিংহের মতাে কখনও বেড়াল, কুকুর বা মাছের মতাে। বিকেলের পড়ন্ত আলােয় উজ্জ্বল এরকম মেঘপুঞ্জকে দেখতে দারুণ লাগে তাই না!
[ লেখাটি সুকান্ত মুখোপাধ্যায়ের লেখা আকাশ পৃথিবী ও মানুষের কথা নামক বই থেকে সংগৃহীত]
Share:

No comments:

Post a Comment

কিছু কথা

আমি দেবায়ন সেন । ভালো লাগে লেখালেখি করতে , সেই কারনেই এই ব্লগের সৃষ্টি । পড়াশোনা গনিতের উপরে কিন্তু ভালো লাগে গান, জাগ্লিং, মাউথর্গ্যান ও প্রোগ্রামিং । বিজ্ঞানের উপরে লেখার জন্যই এই ব্লগ তৈরী করেছিলাম। যাইহোক এখন তা শুধু মাত্র ব্লগের পরিনত হয়েছে । বিজ্ঞানের পোস্টের জন্য ফেসবুকে দেবায়নের বিজ্ঞান ব্লগ (fb.com/blog.debayan)এর ঠিকানায় আছে। জানিনা এই ব্লগে কেউ আসবে কিনা । না এলেও ক্ষতি নাই । ভালোলাগে তাই লিখি ,ব্লগস্পট যতদিন আছে এই লেখাগুলও থাকবে বলেই মনে হয় । যদি কেউ গুগুল সার্চ করে বা কোনো লিঙ্কের মাধ্যমে এখানে পৌঁছয় আর কিছু পোস্ট সামান্য তম উপকারে আছে তাহলেই এই ব্লগের সার্থকতা ।

Recent Posts