বিছুটিতে গা চুলকায় কেনো?

নিজেকে বাঁচানাের জন্যে প্রাণীদের অনেক রকমেরই আত্মরক্ষার ব্যবস্থা থাকে। আত্মরক্ষার ব্যবস্থার মধ্যে সব চাইতে ভাল হল পালিয়ে বাঁচা। জীবদের মধ্যে একমাত্র গাছেরই পালাবার পথ বন্ধ। গাছ নড়তে চড়তে পারে না। তাই কেউ তাকে আক্রমণ করলে জায়গায় দাঁড়িয়েই নিজেকে রক্ষা করবার জন্য অনেক রকমের কৌশল গাছ অবলম্বন করে থাকে। নানা ধরনের জীবজন্তুর হাত থেকে বাঁচবার চেষ্টায় গাছ নিজের পাতা, বাকল, ফুল, ফল ইত্যাদিতে নানা ধরনের বিষ জমিয়ে রাখে। প্রাণীরা ওই বিষের ভয়ে ওই সব গাছের ধারে কাছে ঘেষে না। অনেক গাছে আবার কাঁটাও থাকে। কাঁটার ভয়ে প্রাণী কেন, মানুষই অনেক গাছের কাছে ঘেঁষতে সাহস পায় না। তা ছাড়া কোনাে কোনাে গাছের গায়ে আবার ছােট ছােট বিষাক্ত রােম হয়। ওই বিষের ভয়ে সব প্রাণীই ওই জাতের গাছ এড়িয়ে চলে। বিছুটি গাছেও আত্মরক্ষার জন্যে সারা গায়ে ছােট ছােট রােম থাকে। এই রােমগুলাে বেশ লম্বা এবং এর মাথা শক্ত সূঁচের মত মানুষ বা প্রাণী বিছুটি গাছ ধরলে রােমণ্ডলির মাথা চামড়ার ভিতরে ঢুকে পড়ে এবং মাথাটা ভেঙে গিয়ে চামড়ার সঙ্গে আটকে যায়। ভাঙা মাথা থেকে এক ধরনের বিষ ধীরে ধীরে চামড়ায় ছড়িয়ে পড়ে, ফলে বেঁধা জায়গাটা আস্তে আস্তে ফুলে ওঠে এবং জ্বালা করতে থাকে। জ্বালার সঙ্গে সঙ্গে বিষের প্রভাবে গা চুলকোতে আরম্ভ করে। আর বিষও ধীরে ধীরে অনেকটা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে জ্বালা এবং চুলকানি আরাে বেড়ে ওঠে। প্রধানত বিষের প্রভাবেই বিছুটিতে গা চুলকোয়।
(তথ্যসূত্র: লেখাটি সংগৃহিত)
Share:

No comments:

Post a Comment

কিছু কথা

আমি দেবায়ন সেন । ভালো লাগে লেখালেখি করতে , সেই কারনেই এই ব্লগের সৃষ্টি । পড়াশোনা গনিতের উপরে কিন্তু ভালো লাগে গান, জাগ্লিং, মাউথর্গ্যান ও প্রোগ্রামিং । বিজ্ঞানের উপরে লেখার জন্যই এই ব্লগ তৈরী করেছিলাম। যাইহোক এখন তা শুধু মাত্র ব্লগের পরিনত হয়েছে । বিজ্ঞানের পোস্টের জন্য ফেসবুকে দেবায়নের বিজ্ঞান ব্লগ (fb.com/blog.debayan)এর ঠিকানায় আছে। জানিনা এই ব্লগে কেউ আসবে কিনা । না এলেও ক্ষতি নাই । ভালোলাগে তাই লিখি ,ব্লগস্পট যতদিন আছে এই লেখাগুলও থাকবে বলেই মনে হয় । যদি কেউ গুগুল সার্চ করে বা কোনো লিঙ্কের মাধ্যমে এখানে পৌঁছয় আর কিছু পোস্ট সামান্য তম উপকারে আছে তাহলেই এই ব্লগের সার্থকতা ।

Recent Posts